সুদিনের সুবাতাস বইছে দেশের পুঁজিবাজারে। এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা। লেনদেন-সূচক জন্ম দিচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ডের। টানা উত্থানে বাজারে সরব হয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারিরাও।ডিএসইর চেয়ারম্যান অবশ্য বলছেন, এখনো জিডিপির তুলনায় বাজার মূলধন যথেষ্ট কম। তবে নিয়ন্ত্রণকারি প্রতিষ্ঠান বিএসইসির চেয়ারম্যান বলছেন, চলতি বছরে দেশি-বিদেশী রেকর্ড পরিমান বিনিয়োগ আসবে পুঁজিবাজারে।
ব্যবধানটা মাত্র কয়েক মাসের। চরম অস্বস্তি থেকে বের হয়ে স্বস্তিতে দেশের পুঁজিবাজার। করোনা পরবর্তি কিছু বিচক্ষণ চিন্তা পাল্টে দিয়েছে পুরো প্রেক্ষাপট। নতুন বছরের শুরু থেকেই নতুন নতুন রেকর্ডের জন্ম দিচ্ছে পুঁজিবাজার। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর প্রধান সূচক ছুঁই ছুঁই করছে ছয় হাজারকে, যা এক বছর আগে ছিলো ৪০৬৮ পয়েন্ট।
রোববার লেনদেন হয়েছে ২,৩৮২ কোটি টাকা, যা এক বছর আগে ছিলো ২৪২ কোটি। বাজার মূলধণ গেলো বৃহস্পতিবার ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ কোটির ঘর, বছর আগে যা ছিলো ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বাজার মূলধণ যোগ হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি।
পাঁচ লাখ কোটি টাকা মূলধন হলেও তা দেশের জিডিপির মাত্র ১৭ ভাগ। ডিএসইর চেয়ারম্যান বলছেন, বাজার মূলধন বাড়লে শক্তিশালী হবে পুঁজিবাজার। এজন্য তা কয়েকগুণ বাড়াতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানন ডিএসই’র চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান।
বিনিয়োগকারিদের স্বস্তি দিচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারি সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশণের সম্প্রতি নেয়া কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কমিশন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতের আশা তাদের নেয়া পদক্ষেপে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী হবে বাজার, আসবে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ।তবে উর্দ্ধমুখী বাজারেও বিনিয়োগকারিদের গুজবে কান না দিয়ে জেনে বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন কমিশন চেয়ারম্যান।